ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ভোপাল থেকে নির্বাচিত এমপি প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর আবারও মুসলিম-বিদ্বেষী হেইট স্পিচ দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন – কিন্তু তার দল তো নয়ই, পার্লামেন্টের স্পিকারও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
সম্প্রতি কর্নাটকের শিভামোগায় হিন্দুদের একটি ধর্মীয় সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ‘সন্ন্যাসিনী’ পার্লামেন্টারিয়ান বলেছিলেন, জিহাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হিন্দুদের ঘরে ঘরে হাতিয়ার তৈরি রাখতে হবে, অস্ত্রে শান দিতে হবে।
এই ঘটনার দিনকয়েক পরে কর্নাটক পুলিশ তার বিরুদ্ধে একটি রুটিন এফআইআর করেছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে কোন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রজ্ঞা ঠাকুরও সারা দেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নানা সভায় যোগ দিচ্ছেন।
বিজেপির এই বিতর্কিত এমপি “রোজ যেভাবে নিয়ম করে বিষ ছড়াচ্ছেন”, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের শতাধিক সাবেক শীর্ষস্থানীয় আমলা শনিবার (৭ জানুয়ারি) লোকসভার স্পিকার ও এথিকস কমিটির কাছে একটি খোলা চিঠিও লিখেছেন।
ওই চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, “নিয়মিত উসকানিমূলক হেইট স্পিচ আর বারবার ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর দেশের পার্লামেন্টের সদস্য থাকার নৈতিক অধিকার খুইয়েছেন বলে আমরা মনে করি।”
এই চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মধু ভান্ডারী, সাবেক কেন্দ্রীয় সচিব অনিতা অগ্নিহোত্রী বা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদের মতো বহু পরিচিত নাম রয়েছে।
তবে ঘটনা হল, এর আগেও বহু সিভিল সোসাইটি গ্রুপ পার্লামেন্টে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু স্পিকারের কার্যালয় বা দল হিসেবে বিজেপি তাতে কর্ণপাতও করেনি।
২০১৯ সালে ভারতের জাতির জনক মোহনদাস গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গোডসেকে ‘সাচ্চা দেশপ্রেমী’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, যার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী এক টিভি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, “আমি এর জন্য কখনও ওনাকে মন থেকে মাফ করতে পারব না।”
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকাশ্য তিরস্কারের পরও প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি কোন ব্যবস্থাই নেয়নি, বরং তাকে পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
কী বলেছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর?
বিজেপির এই এমপি-র যে ভাষণকে ঘিরে এই সবশেষ বিতর্ক, তাতে তিনি একবারও ‘মুসলিম’ কথাটি উচ্চারণ করেননি – কিন্তু কাদের নিশানা করে কথাগুলো বলেছিলেন তা বুঝে নিতে কোন অসুবিধা হয় না।
কেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি কোন ব্যবস্থা নেয় না?
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ভোপাল থেকে নির্বাচিত এমপি প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর আবারও মুসলিম-বিদ্বেষী হেইট স্পিচ দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন – কিন্তু তার দল তো নয়ই, পার্লামেন্টের স্পিকারও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
সম্প্রতি কর্নাটকের শিভামোগায় হিন্দুদের একটি ধর্মীয় সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ‘সন্ন্যাসিনী’ পার্লামেন্টারিয়ান বলেছিলেন, জিহাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হিন্দুদের ঘরে ঘরে হাতিয়ার তৈরি রাখতে হবে, অস্ত্রে শান দিতে হবে।
এই ঘটনার দিনকয়েক পরে কর্নাটক পুলিশ তার বিরুদ্ধে একটি রুটিন এফআইআর করেছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে কোন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রজ্ঞা ঠাকুরও সারা দেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নানা সভায় যোগ দিচ্ছেন।
বিজেপির এই বিতর্কিত এমপি “রোজ যেভাবে নিয়ম করে বিষ ছড়াচ্ছেন”, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের শতাধিক সাবেক শীর্ষস্থানীয় আমলা শনিবার (৭ জানুয়ারি) লোকসভার স্পিকার ও এথিকস কমিটির কাছে একটি খোলা চিঠিও লিখেছেন।
ওই চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, “নিয়মিত উসকানিমূলক হেইট স্পিচ আর বারবার ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর দেশের পার্লামেন্টের সদস্য থাকার নৈতিক অধিকার খুইয়েছেন বলে আমরা মনে করি।”
এই চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মধু ভান্ডারী, সাবেক কেন্দ্রীয় সচিব অনিতা অগ্নিহোত্রী বা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদের মতো বহু পরিচিত নাম রয়েছে।
তবে ঘটনা হল, এর আগেও বহু সিভিল সোসাইটি গ্রুপ পার্লামেন্টে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু স্পিকারের কার্যালয় বা দল হিসেবে বিজেপি তাতে কর্ণপাতও করেনি।
২০১৯ সালে ভারতের জাতির জনক মোহনদাস গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গোডসেকে ‘সাচ্চা দেশপ্রেমী’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, যার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী এক টিভি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, “আমি এর জন্য কখনও ওনাকে মন থেকে মাফ করতে পারব না।”
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকাশ্য তিরস্কারের পরও প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি কোন ব্যবস্থাই নেয়নি, বরং তাকে পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
কী বলেছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর?
বিজেপির এই এমপি-র যে ভাষণকে ঘিরে এই সবশেষ বিতর্ক, তাতে তিনি একবারও ‘মুসলিম’ কথাটি উচ্চারণ করেননি – কিন্তু কাদের নিশানা করে কথাগুলো বলেছিলেন তা বুঝে নিতে কোন অসুবিধা হয় না।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: March 29, 2024, 8:44 pm