আল কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন : ‘আল্লাহু আকবার’। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সব চাইতে বড়। (আল আনকাবুত : ৪৫, অক্ষর সংখ্যা-৮)।
দৃষ্টিকোণ : উপরোক্ত জিকিরটি ও উল্লিখিত আয়াতাংশের শেষ শব্দদ্বয়। এই আয়াতাংশের অর্থ হচ্ছে : আর আল্লাহর জিকির বা স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। ১. আল্লাহর জিকির সবচেয়ে বড় ইবাদত। এতদর্থে সালাত বড় ইবাদত। কেননা, এতে আল্লাহর জিকির আছে। সুতরাং যে সালাতে জিকির বেশি থাকে সে সালাত ততবেশি উত্তম। (তাফসিরে ইবনে কাসির; তাফসিরে কুরতুবী)।
২. আল্লাহর স্মরণ অনেক বড় জিনিস, সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ। মানুষের অন্য কোনো কাজ এরচেয়ে বেশি বড় নয়। (তাফসিরে তাবারি)। ৩. তোমার আল্লাহকে স্মরণ করার চাইতে আল্লাহ কর্তৃক তোমাকে স্মরণ করা অনেক বেশি বড় জিনিস। আল কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন : তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। (সূরা আল বাকারাহ : ১৫২)। ৪. আল্লাহর জিকির এবাদতকারী বান্দাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। (তাফসিরে বাগাবি)।
তত্ত্বকথা : ১. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হলো তাকবির। আর তাকবির হলো আল্লাহু আকবার বলা। অর্থাৎ আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্ব, ঘোষণা করা। আল্ কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) তোমাদের উচিত আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা, যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হেদায়েতকান করেছেন। (সূরা বাকারাহ : ১৮৫)। (খ) আর আপনি আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। (সূরা মুদ্দাসসির : ৩)।
(গ) তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর, কেননা তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। (সূরা হাজ্জ : ৩৭)। (ঘ) তোমরা অধিকহারে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা বণী ইস্রাঈল : ১১১)।
তত্ত্বকথা : ২. তাকবির তথা ‘আল্লাহু আকবার’ হলো ইসলামী পরিভাষা যা মুমিন-মুসলমানদের জীবন ও কর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিলে মিশে আছে। যেমন : (ক) জন্মের পর মুসলিম শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে একামত ধ্বনি উচ্চারণ করতে হয়। (খ) এই তাকবির ধ্বনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানে ৩০ বার একামতে ৩০ বার, ফরজ নামাজে সমূহে ৯৪ বার, এবং স্বাভাবিক ফরজ, সুন্নাত ও নফল নামাজে ৪৫৭ বার উচ্চারিত হয়।
(গ) প্রত্যেক মাসের নতুন চাঁদ দেখে তাকবির বলা ও দোয়া করা সুন্নাত। (ঘ) জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন তাকবির পাঠ করা, এবং ৯ তারিখ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। (ঙ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত থেকে ঈদের সালাত পর্যন্ত বেশি বেশি তাকবির পাঠ করা। (চ) সফরের উদ্দেশ্যে যান বাহনে আরোহণকালে তাকবির পাঠ করা।
(ছ) উচুঁ স্থানে আরোহণকালে তাকবির বলা। (জ) পশু জবহের কালে তাকবির বলা। (ঝ) অগ্নিকা-ের দূর্ঘটনায় তাকবির পাঠ করা। (ঞ) জানাজার নামাজে ৪ তাকবির বলা। (ট) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণকালে তাকবির বলা। (ঠ) জিহাদের ময়দানে তাকবির ধ্বনি ও উচ্চারণ করা কুরআন ও সুন্নাহর দ্বারা সমর্থিত।
তত্ত্বকথা : ৩. আল কুরআনে ‘আল্লাহ’ নাম মোবারক পাঁচটি রূপে এসেছে ২৭০২ বার এবং ‘আকবার’ গুণটি এসেছে ২৩ বার। উভয় সংখ্যার যোগফল (২৭০২+২৫)= ২৭২৫। যার একক ১৬ এবং তার একক (১+৬)=৭। এই ৭ আল্লাহর প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করছে, যা পরিপূর্ণ ইসলামের রূপরেখা ঈমানে মুফাছ্্ছালের বার্তা বহন করে চলেছে। আমীন! এই জিকিরকারীরা সকল অবস্থায় বিজয় লাভে ধন্য হবে, আমীন।
আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী
আল কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন : ‘আল্লাহু আকবার’। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সব চাইতে বড়। (আল আনকাবুত : ৪৫, অক্ষর সংখ্যা-৮)।
দৃষ্টিকোণ : উপরোক্ত জিকিরটি ও উল্লিখিত আয়াতাংশের শেষ শব্দদ্বয়। এই আয়াতাংশের অর্থ হচ্ছে : আর আল্লাহর জিকির বা স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। ১. আল্লাহর জিকির সবচেয়ে বড় ইবাদত। এতদর্থে সালাত বড় ইবাদত। কেননা, এতে আল্লাহর জিকির আছে। সুতরাং যে সালাতে জিকির বেশি থাকে সে সালাত ততবেশি উত্তম। (তাফসিরে ইবনে কাসির; তাফসিরে কুরতুবী)।
২. আল্লাহর স্মরণ অনেক বড় জিনিস, সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ। মানুষের অন্য কোনো কাজ এরচেয়ে বেশি বড় নয়। (তাফসিরে তাবারি)। ৩. তোমার আল্লাহকে স্মরণ করার চাইতে আল্লাহ কর্তৃক তোমাকে স্মরণ করা অনেক বেশি বড় জিনিস। আল কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন : তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। (সূরা আল বাকারাহ : ১৫২)। ৪. আল্লাহর জিকির এবাদতকারী বান্দাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। (তাফসিরে বাগাবি)।
তত্ত্বকথা : ১. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হলো তাকবির। আর তাকবির হলো আল্লাহু আকবার বলা। অর্থাৎ আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্ব, ঘোষণা করা। আল্ কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) তোমাদের উচিত আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা, যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হেদায়েতকান করেছেন। (সূরা বাকারাহ : ১৮৫)। (খ) আর আপনি আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। (সূরা মুদ্দাসসির : ৩)।
(গ) তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর, কেননা তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। (সূরা হাজ্জ : ৩৭)। (ঘ) তোমরা অধিকহারে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা বণী ইস্রাঈল : ১১১)।
তত্ত্বকথা : ২. তাকবির তথা ‘আল্লাহু আকবার’ হলো ইসলামী পরিভাষা যা মুমিন-মুসলমানদের জীবন ও কর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিলে মিশে আছে। যেমন : (ক) জন্মের পর মুসলিম শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে একামত ধ্বনি উচ্চারণ করতে হয়। (খ) এই তাকবির ধ্বনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানে ৩০ বার একামতে ৩০ বার, ফরজ নামাজে সমূহে ৯৪ বার, এবং স্বাভাবিক ফরজ, সুন্নাত ও নফল নামাজে ৪৫৭ বার উচ্চারিত হয়।
(গ) প্রত্যেক মাসের নতুন চাঁদ দেখে তাকবির বলা ও দোয়া করা সুন্নাত। (ঘ) জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন তাকবির পাঠ করা, এবং ৯ তারিখ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। (ঙ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত থেকে ঈদের সালাত পর্যন্ত বেশি বেশি তাকবির পাঠ করা। (চ) সফরের উদ্দেশ্যে যান বাহনে আরোহণকালে তাকবির পাঠ করা।
(ছ) উচুঁ স্থানে আরোহণকালে তাকবির বলা। (জ) পশু জবহের কালে তাকবির বলা। (ঝ) অগ্নিকা-ের দূর্ঘটনায় তাকবির পাঠ করা। (ঞ) জানাজার নামাজে ৪ তাকবির বলা। (ট) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণকালে তাকবির বলা। (ঠ) জিহাদের ময়দানে তাকবির ধ্বনি ও উচ্চারণ করা কুরআন ও সুন্নাহর দ্বারা সমর্থিত।
তত্ত্বকথা : ৩. আল কুরআনে ‘আল্লাহ’ নাম মোবারক পাঁচটি রূপে এসেছে ২৭০২ বার এবং ‘আকবার’ গুণটি এসেছে ২৩ বার। উভয় সংখ্যার যোগফল (২৭০২+২৫)= ২৭২৫। যার একক ১৬ এবং তার একক (১+৬)=৭। এই ৭ আল্লাহর প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করছে, যা পরিপূর্ণ ইসলামের রূপরেখা ঈমানে মুফাছ্্ছালের বার্তা বহন করে চলেছে। আমীন! এই জিকিরকারীরা সকল অবস্থায় বিজয় লাভে ধন্য হবে, আমীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 26, 2024, 11:32 am