আতঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি-জামায়াত

  বিশেষ প্রতিনিধি    22-09-2022    171
আতঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি-জামায়াত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে যৌথ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি- জামায়াত। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি মনে করছে তাদের একক কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করা হয় এবং এ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ক্ষমতাসীনরা রাস্তায় নামে এবং কর্মসূচিগুলো পণ্ড করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার মিরপুর এবং বনানীতে এ ঘটনা ঘটেছে। এজন্য বিএনপিকে সহায়তা করার জন্য জামায়াত ঝটিকা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে। জামায়াতের বিভিন্ন পকেট এলাকাগুলোতে ২৫ থেকে ৩০ জন ক্যাডার একত্রিত হবে এবং আকস্মিকভাবে একটি তাণ্ডব করে যে যেখানে পালিয়ে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনার কথা একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে নাশকতামূলক এসব বিষয় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা গেছে, বিএনপির এখন মূল লক্ষ্য হলো যেকোনো মূল্যে ঢাকাকে দখল করা এবং ঢাকায় কর্মসূচি পালন করা। আর এ কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যেই তারা এখন ঢাকাকে জামায়াত দ্বারা অস্থির করতে চাচ্ছে। জামায়াতের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তাদের প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার ক্যাডার সদস্য ঢাকা শহরে অবস্থান করছে। এ সশস্ত্র ক্যাডাররাই সরকারের জন্য একটি বড় রকমের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু সরকারের এখন সব মনোযোগ বিএনপির দিকে এবং বিএনপি কি ধরনের কর্মসূচি পালন করছে সে কর্মসূচির দিকে লক্ষ্য রাখা। সে কারণে এখন জামায়াত তার আসল রূপ প্রকাশ করছে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে জামায়াত তার সাংগঠনিক শক্তিকে বৃদ্ধি করেছে, ক্যাডারদের প্রশিক্ষিত করেছে এবং এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা এখন তাদেরকে মাঠে নামাতে চায় যেন সরকারকে চাপে ফেলা যায়। আর বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির আলোকে জামায়াত সশস্ত্র কর্মসূচির মাধ্যমে পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ করতে চায় বলেই জানা গেছে। এ লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের গোপন শলাপরামর্শ হচ্ছে, গোপন বৈঠকে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন এবং কর্মসূচি প্রণয়ন করছেন। বিএনপি যেমন সারাদেশে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে তেমনি জামায়াত এখন ঝটিকা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এই কর্মসূচির খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্য হলো ভাঙচুর এবং জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা। এক ধরনের নাশকতামূলক কর্মসূচির ব্যাপ্তি হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের। এ সময়ের মধ্যে ব্যস্ত সড়কে, ব্যস্ত জনপদে জামায়াতের ক্যাডাররা ভাঙচুর এবং ত্রাস সৃষ্টি করে চলে যাবে।

জাতীয়-এর আরও খবর