মূলা, অতি সাধারণ এই সবজিটি চট্টগ্রামের অনেক ভোজন রসিকদের কাছে অসাধারণ। তারা বছরজুড়ে একটি বিশেষ মূলার অপেক্ষায় থাকেন। এই মূলার নাম ‘মাইজভান্ডারের মূল’, কারো কারো কাছে ‘ভান্ডারি মূল’।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবারে শুধুমাত্র বাংলা মাঘ মাসে ওরশ মাহফিলের সময় এই মূলা বিক্রি হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মাইজভান্ডার দরবারের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওরশ শেষে পরদিন বুধবার হাজার হাজার মানুষ বড় বড় সাইজের মূলা কিনে নিয়ে ফিরতে দেখা গেছে দিনভর।
কোনো মূলার ওজন ৫ কেজি, আবার কোন মূলার ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। এক জোড়া মূলা বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে মাইজভান্ডার দরবারে এসেছেন ভান্ডারি ভক্ত আলী আহাম্মদ ফকির। ওরশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বড় সাইজের একজোড়া মূলা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে আলী আহাম্মদ জানান, এই মূলা কেনার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। ভান্ডারি মূলার স্বাদের সাথে কোনো তুলনা চলে না। গরুর হাড় মাংসের সাথে এই মূলা রান্না করা হয়, আবার কখনো কখনো চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। দরবারে আসলে ভান্ডারি মূলা কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির গৃহিনীদের আগাম আবদার থাকে।
পারভেজ চৌধুরী নামের অপর একজন মূলা ক্রেতা জানান, তিনি আনুমানিক ১৩ কেজি ওজনের দুটি মূলা কিনেছেন দেড়শ টাকা দিয়ে। এই মূলা বাড়িতে নিয়ে গরুর হাড়-মাংসের সাথে রান্না হবে। রীতিমত অতিথি আমন্ত্রণ জানিয়ে মুলার তরকারির সাথে সাদা ভাত খাওয়ানো হবে।
পারভেজ বলেন, প্রতিবছর মাইজভান্ডার দরবার থেকে মূলা কিনে নিয়ে যাই। পুরো এক বছর এই বড় সাইজের মুলা কিনার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় একশরও বেশি মূলার দোকান রয়েছে এখানে। ক্রেতারও কমতি নেই।
ফজলুল মুন্সি নামের এক মূলা বিক্রেতা বলেন, আমরা শীত মৌসুমে ক্ষেত থেকে মূলা উত্তোলন না করে বড় করতে থাকি দরবারের ওরশের সময় বিক্রির জন্য। তার দোকানে সর্বনিম্ন ৩ কেজি থেকে ১০ কেজি ওজনের মূলা রয়েছে। এগুলো ভান্ডারি মূলা নামেই পরিচিত। বড় সাইজের এসব মূলার চাহিদা অনেক।
আমিন নামের অপর এক বিক্রেতা জানান, তিনি এক হাজারেরও বেশি বড় সাইজের মূলা বিক্রির জন্য দরবারে এনেছেন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৬০০শ’রও বেশি মূলা বিক্রি করেছেন। প্রতি জোড়া মূলা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দামে।
ভান্ডারশরীফ ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য ক্রেতা দরবার থেকে মূলা কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। মূলা কেনা-বেচার এই দৃশ্য সাধারণ মানুষকেও ব্যাপক আকর্ষিত করছে। শুধুমাত্র বছরে একবার মাঘ মাসে মাইজভান্ডার দরবারের ওরশের সময় এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।
ভান্ডারি মূলা : বছরে একবার যে মূলার জন্য অপেক্ষা
মূলা, অতি সাধারণ এই সবজিটি চট্টগ্রামের অনেক ভোজন রসিকদের কাছে অসাধারণ। তারা বছরজুড়ে একটি বিশেষ মূলার অপেক্ষায় থাকেন। এই মূলার নাম ‘মাইজভান্ডারের মূল’, কারো কারো কাছে ‘ভান্ডারি মূল’।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবারে শুধুমাত্র বাংলা মাঘ মাসে ওরশ মাহফিলের সময় এই মূলা বিক্রি হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মাইজভান্ডার দরবারের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওরশ শেষে পরদিন বুধবার হাজার হাজার মানুষ বড় বড় সাইজের মূলা কিনে নিয়ে ফিরতে দেখা গেছে দিনভর।
কোনো মূলার ওজন ৫ কেজি, আবার কোন মূলার ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। এক জোড়া মূলা বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে মাইজভান্ডার দরবারে এসেছেন ভান্ডারি ভক্ত আলী আহাম্মদ ফকির। ওরশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বড় সাইজের একজোড়া মূলা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে আলী আহাম্মদ জানান, এই মূলা কেনার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। ভান্ডারি মূলার স্বাদের সাথে কোনো তুলনা চলে না। গরুর হাড় মাংসের সাথে এই মূলা রান্না করা হয়, আবার কখনো কখনো চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। দরবারে আসলে ভান্ডারি মূলা কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির গৃহিনীদের আগাম আবদার থাকে।
পারভেজ চৌধুরী নামের অপর একজন মূলা ক্রেতা জানান, তিনি আনুমানিক ১৩ কেজি ওজনের দুটি মূলা কিনেছেন দেড়শ টাকা দিয়ে। এই মূলা বাড়িতে নিয়ে গরুর হাড়-মাংসের সাথে রান্না হবে। রীতিমত অতিথি আমন্ত্রণ জানিয়ে মুলার তরকারির সাথে সাদা ভাত খাওয়ানো হবে।
পারভেজ বলেন, প্রতিবছর মাইজভান্ডার দরবার থেকে মূলা কিনে নিয়ে যাই। পুরো এক বছর এই বড় সাইজের মুলা কিনার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় একশরও বেশি মূলার দোকান রয়েছে এখানে। ক্রেতারও কমতি নেই।
ফজলুল মুন্সি নামের এক মূলা বিক্রেতা বলেন, আমরা শীত মৌসুমে ক্ষেত থেকে মূলা উত্তোলন না করে বড় করতে থাকি দরবারের ওরশের সময় বিক্রির জন্য। তার দোকানে সর্বনিম্ন ৩ কেজি থেকে ১০ কেজি ওজনের মূলা রয়েছে। এগুলো ভান্ডারি মূলা নামেই পরিচিত। বড় সাইজের এসব মূলার চাহিদা অনেক।
আমিন নামের অপর এক বিক্রেতা জানান, তিনি এক হাজারেরও বেশি বড় সাইজের মূলা বিক্রির জন্য দরবারে এনেছেন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৬০০শ’রও বেশি মূলা বিক্রি করেছেন। প্রতি জোড়া মূলা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দামে।
ভান্ডারশরীফ ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য ক্রেতা দরবার থেকে মূলা কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। মূলা কেনা-বেচার এই দৃশ্য সাধারণ মানুষকেও ব্যাপক আকর্ষিত করছে। শুধুমাত্র বছরে একবার মাঘ মাসে মাইজভান্ডার দরবারের ওরশের সময় এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 19, 2024, 5:47 pm