ঈদগাঁওতে মিয়ানমারের গরু-মহিষে সয়লাব

  বিশেষ প্রতিনিধি    27-01-2023    192
ঈদগাঁওতে মিয়ানমারের গরু-মহিষে সয়লাব

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরু-মহিষের চালানে নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় নতুন পথে দেশে নিয়ে আসছে পাচারকারীরা। ক্ষতিতে পড়ছেন দেশীয় খামারি ও উদ্যোক্তারা। এতে সরকার যেমন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি মাদক বিস্তারের সুযোগও তৈরি করেছে এ চক্রটি। এচক্রের অনেকে সদস্য ইয়াবা মামলার জেল ফেরত আসামীও রয়েছে। এছাড়াও তাদের কোমরে অস্ত্র ও দেখা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ও চোরাই পথে আসা গরু-মহিষে সয়লাব হয়ে গেছে ঈদগাঁও উপজেলা। তবে অবৈধভাবে আসা এসব গরু-মহিষের অধিকাংশ রাখা হচ্ছে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ও ইসলামপুর ইউনিয়নসহ নানা স্থানে। রীতিমত মিয়ানমারের পশুর হাঁট বসে ঈদগাঁও বাস স্টেশনের গরু বাজার নামক এলাকায়।

দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের সামনে এসব অবৈধ পশু হাঁটে বিক্রি করতে বসলেও অদৃশ্য কারণে চুপসে ছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এসব অবৈধ পশু হাঁটে বিক্রি বন্ধ এবং মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ আসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও দাবী জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় একাবাসীরা জানান, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা এসব গবাদি পশুর কারণে দেশীয় খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আগামী কুরবানির ঈদের আগে যদি এসব গবাদি পশু আনা বন্ধ করা না হয়, তাহলে খামারি ও কৃষকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

স্থানীয় খামারি জাফল আলম বলেন, বর্তমান বাজারে পশু খাদ্যের বেশ দাম। তারপরও বেশি দামে খাদ্য কিনে গবাদি পশু লালন-পালন করছি। কিন্তু মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গবাদি পশু আসার কারণে বাজারে দাম পাচ্ছি না। লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাছাড়াও মিয়ানমার থেকে যেসব গবাদি পশু দেশে আসছে, সেগুলো খুবই রোগাক্রান্ত।

ঈদগাঁও গরু বাজারে মিয়ানমারের গরু ক্রয় বিক্রয় হওয়ার বিষয়ে জানতে ইজারাদার রমজান কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন,আমাদের গরু বাজারে মিয়ানমারের গরু ক্রয়-বিক্রয় হতে দেখা যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে কল রিচিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সারাদেশ-এর আরও খবর