কক্সবাজারে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর মজুত বেশি ছিল এবার। এরপরও চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আবার দেশীয় খামারিদের অসন্তোষের কারণ ছিল মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে ঢোকা গরু। সব মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি হাটে উল্লেখযোগ্য কোরবানির পশু বিকিকিনি হয়েছে। তবে, মাঝারি ও ছোট গরু নিয়ে কাড়াকাড়ি সব বাজারেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র মতে, এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য আগে থেকে এক লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। আর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা ছিল এক লাখ ৪০ হাজার ৯২৩টি। এবারে বিক্রয়যোগ্য পশুর মধ্যে গরু এক লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯টি। জেলায় স্থায়ী ৩৮ ও অস্থায়ী ৫২ মিলে এবার মোট ৯০টি হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। বিক্রয় করা পশুর চেক-আপ করতে রয়েছে ২৭টি মেডিকেল টিম। শেষ সময়ে এসে প্রতিটি হাটে বেচাবিক্রি বেশ ভালো।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে ঈদগাঁও বাজারে কোরবানির পশু কিনতে আসা এ কে এম জাহাঙ্গীর ও মুহাম্মদ ইউনূস খান বলেন, দেশি মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা সিংহভাগ ক্রেতার। তাই আড়াই-তিন মণ ওজনের কোরবানি গরুর দাম বেশি। এ সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
কক্সবাজার শহর থেকে কোরবানির পশু কিনতে ঈদগাঁও বাজারে আসা মিনহাজ আহমেদ বলেন, এবারের বাজারে মহিষের যোগান ভালো। ছোট-বড়-মাঝারি সব ধরনের মহিষ উঠেছে। গরুর মাংসে যাদের শারীরিক সমস্যা, সেসব পরিবারে কোরবানির পশু হিসেবে মহিষ কেনার ধুম পড়েছে বলে মনে হলো। আগে লোকজন মহিষ কিনতো কম। কিন্তু এবার মহিষের বাজারেও ক্রেতা জট।
কোরবানি কিনতে ঈদগাঁও হাটে আসা জুনায়েদ বলেন, এবারে কোরবানির পশুর দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। যেসব গরু অন্য সময়ে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই সাইজের কোরবানি পশু এবারে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। দেখতে একটু সুন্দর ও তরতাজা হলেই বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাঁকায়। এত বাজার ঘুরেও কোরবানির পশুটি এখনো কেনা হয়নি। বুধবার যেমন দামই হোক কিনতেই হবে।
শুধু তিনি নন, আরও অনেকেই দাম বেশির কারণে শেষ বাজারের ওপর নির্ভর করে আছেন। জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত থাকার পরেও সংকট দেখিয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কমবেশি দাম যা-ই হোক বুধবার শেষ বাজারে ক্রেতার ভিড় বাড়বে এমনটাই মনে করছেন মৌসুমি পশু বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন।
প্রায় ১৮ মণ ওজনের গরু ‘রাজাবাবু’কে বাজারে তুলে হইচই ফেলে দিয়েছেন কক্সবাজার ঝিলংজার খরুলিয়া এলাকার আরসিজি এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ শফিক। তার গরুটির দাম হাঁকা হয়েছ ১২ লাখ টাকা। সৌখিন এক ক্রেতা ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তবে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কমে বিক্রি করলে তার খরচই উঠবে না বলে দাবি খামারি শফিকের।
এদিকে, গরুর বাজার জমলেও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। কক্সবাজারের প্রাচীন ঈদগাঁও এবং খরুলিয়া গরুর বাজার দুটি মহাসড়কের ওপর বসায় এ দুই স্থানে বেলা ১১টা থেকে রাত পর্যন্ত জ্যাম লেগে পথচারীদের ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন রাস্তার ধারে বাজার বসলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও সড়কের ওপরেই এতদিন বাজার বসিয়ে কেনাবেচা করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বাজারগুলো অন্যস্থানে স্থানান্তরিত করা হোক।
অপরদিকে, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারের গরু প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। এ কারণে অনেক খামারি ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, রামুর গর্জনীয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির কোরবানির হাটে চোরাই গরু প্রবেশ রোধে কড়া দায়িত্ব পালন করছে র্যাব-বিজিবি। তবে, শুরুর দিকে কিছু গরু-মহিষ চোরাই পথে আসলেও গত কিছুদিন থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোরবানির হাটে পশুর বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করছি, শেষদিনও কোনো সমস্যা হবে না। যাদের রাখার জায়গা আছে তারা আগেই পশু কিনেছেন। আর যাদের সেই সুযোগ নেই তারা বুধবারই কোরবানির পশু কিনবেন।
কক্সবাজার চাহিদার বেশি পশু থাকার পরও দাম চড়া, ছোট গরু নিয়ে কাড়াকাড়ি
কক্সবাজারে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর মজুত বেশি ছিল এবার। এরপরও চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আবার দেশীয় খামারিদের অসন্তোষের কারণ ছিল মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে ঢোকা গরু। সব মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি হাটে উল্লেখযোগ্য কোরবানির পশু বিকিকিনি হয়েছে। তবে, মাঝারি ও ছোট গরু নিয়ে কাড়াকাড়ি সব বাজারেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র মতে, এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য আগে থেকে এক লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। আর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা ছিল এক লাখ ৪০ হাজার ৯২৩টি। এবারে বিক্রয়যোগ্য পশুর মধ্যে গরু এক লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯টি। জেলায় স্থায়ী ৩৮ ও অস্থায়ী ৫২ মিলে এবার মোট ৯০টি হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। বিক্রয় করা পশুর চেক-আপ করতে রয়েছে ২৭টি মেডিকেল টিম। শেষ সময়ে এসে প্রতিটি হাটে বেচাবিক্রি বেশ ভালো।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে ঈদগাঁও বাজারে কোরবানির পশু কিনতে আসা এ কে এম জাহাঙ্গীর ও মুহাম্মদ ইউনূস খান বলেন, দেশি মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা সিংহভাগ ক্রেতার। তাই আড়াই-তিন মণ ওজনের কোরবানি গরুর দাম বেশি। এ সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
কক্সবাজার শহর থেকে কোরবানির পশু কিনতে ঈদগাঁও বাজারে আসা মিনহাজ আহমেদ বলেন, এবারের বাজারে মহিষের যোগান ভালো। ছোট-বড়-মাঝারি সব ধরনের মহিষ উঠেছে। গরুর মাংসে যাদের শারীরিক সমস্যা, সেসব পরিবারে কোরবানির পশু হিসেবে মহিষ কেনার ধুম পড়েছে বলে মনে হলো। আগে লোকজন মহিষ কিনতো কম। কিন্তু এবার মহিষের বাজারেও ক্রেতা জট।
কোরবানি কিনতে ঈদগাঁও হাটে আসা জুনায়েদ বলেন, এবারে কোরবানির পশুর দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। যেসব গরু অন্য সময়ে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই সাইজের কোরবানি পশু এবারে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। দেখতে একটু সুন্দর ও তরতাজা হলেই বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাঁকায়। এত বাজার ঘুরেও কোরবানির পশুটি এখনো কেনা হয়নি। বুধবার যেমন দামই হোক কিনতেই হবে।
শুধু তিনি নন, আরও অনেকেই দাম বেশির কারণে শেষ বাজারের ওপর নির্ভর করে আছেন। জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত থাকার পরেও সংকট দেখিয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কমবেশি দাম যা-ই হোক বুধবার শেষ বাজারে ক্রেতার ভিড় বাড়বে এমনটাই মনে করছেন মৌসুমি পশু বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন।
প্রায় ১৮ মণ ওজনের গরু ‘রাজাবাবু’কে বাজারে তুলে হইচই ফেলে দিয়েছেন কক্সবাজার ঝিলংজার খরুলিয়া এলাকার আরসিজি এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ শফিক। তার গরুটির দাম হাঁকা হয়েছ ১২ লাখ টাকা। সৌখিন এক ক্রেতা ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তবে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কমে বিক্রি করলে তার খরচই উঠবে না বলে দাবি খামারি শফিকের।
এদিকে, গরুর বাজার জমলেও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। কক্সবাজারের প্রাচীন ঈদগাঁও এবং খরুলিয়া গরুর বাজার দুটি মহাসড়কের ওপর বসায় এ দুই স্থানে বেলা ১১টা থেকে রাত পর্যন্ত জ্যাম লেগে পথচারীদের ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন রাস্তার ধারে বাজার বসলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও সড়কের ওপরেই এতদিন বাজার বসিয়ে কেনাবেচা করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বাজারগুলো অন্যস্থানে স্থানান্তরিত করা হোক।
অপরদিকে, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের একাধিক এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারের গরু প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। এ কারণে অনেক খামারি ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, রামুর গর্জনীয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির কোরবানির হাটে চোরাই গরু প্রবেশ রোধে কড়া দায়িত্ব পালন করছে র্যাব-বিজিবি। তবে, শুরুর দিকে কিছু গরু-মহিষ চোরাই পথে আসলেও গত কিছুদিন থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোরবানির হাটে পশুর বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করছি, শেষদিনও কোনো সমস্যা হবে না। যাদের রাখার জায়গা আছে তারা আগেই পশু কিনেছেন। আর যাদের সেই সুযোগ নেই তারা বুধবারই কোরবানির পশু কিনবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: October 8, 2024, 12:27 am