ময়মনসিংহ-১০ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন

  বিশেষ প্রতিনিধি    07-01-2024    43
ময়মনসিংহ-১০ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন

আজ রোববার সকালে কারচুপির অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) সংসদীয় আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন দীপু ও অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এসময় মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং নৌকার প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে আসনে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আবুল হোসেন দীপু ও অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ উল্লেখ যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় সকাল ১০টার দিকে তারা বর্জনের ঘোষণা দেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আবুল হোসেন দিপু বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্র নৌকার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তারা জোরপূর্বক ভোট দিচ্ছে, এখানে প্রশাসন নিরব। দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে জানানো হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সুতরাং এই নির্বাচনে থাকা অর্থহীন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ, তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। মারধর খেয়ে আহত হয়েছেন। আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আজকে সুষ্ঠু পরিবেশ ও ভোট দেয়ার পরিবেশ না থাকার কারণে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ভোট বর্জন ঘোষণা করছি। কারণ এভাবে জোরপূর্বকভাবে ভোট দিয়ে কোনো ফল আসবে না। এটি এক ধরনের প্রহসন। তাই প্রহসনের এ নির্বাচন আমি বর্জন করলাম।

অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ বলেন, হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা ও ভোটের পরিবেশ না থাকায় বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একপেশে নির্বাচন, গফরগাঁওয়ে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। নৌকায় সিল মারছে এবং সেটি উৎসব করে ফেসবুকে লাইভ করছে। প্রশাসনের মদদে এসব ঘটানো হয়েছে। তাই ভোট বর্জন করেছি।

গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত জাল ভোটের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি এবং প্রমাণও পাইনি। একজন ভোটার গোপন কক্ষের বাইরে ভোট দিয়েছে। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল সেটি এলাউ করতে না দেয়া। সে কারণে মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করে এবং নৌকার প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সারাদেশ-এর আরও খবর