পঞ্চগড়ে চা-চাষিদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে। ‘পার্সেন্টেজ কর্তন’ নামে স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে অর্ধেক চা পাতার মূল্য হারাচ্ছেন চাষিরা। এতে লাভের চেয়ে লোকসান গুনে দিশেহারা প্রান্তিক চা-চাষিরা। এতে চা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
অভিযোগ করা হচ্ছে, কারখানাগুলো ইচ্ছেমত ৩০-৪০% পর্যন্ত ‘পার্সেন্টেজ’ কেটে রেখে পাতা কিনছে। এতে ৬০-৭০ ভাগ পাতার দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে চা উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা অঞ্চল পঞ্চগড়ে কয়েক বছরের রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছে। তবুও চা-চাষিদের মুখে হাসি ফুটছে না। তারা প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে গুনতে দিশেহারা। সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ‘পার্সেন্টেজ কর্তন’ এর মতো
স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছেন চাষিরা। এসব অভিযোগের তীর কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে। সেখানে কারখানা মালিকদের কাছে নিজেদের জিম্মি মনে করছেন চা-চাষিরা।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন কারণে কারখানায় পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হতে হচ্ছে চাষিদের। সমতলের চায়ের ভরা মৌসুম মে থেকে জুলাই। তবে এপ্রিল থেকে থেকেই শুরু হয় পাতা কাটা। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে পাতা উত্তোলন। এ সময়টা চাষিরা চা বাগানের পরিচর্যা করে চা পাতা উত্তোলনের উপযোগী করে তুলেন। মৌসুমের শুরুতে চা পাতা নিতে কারখানাগুলো পাতার দাম বাড়িয়ে পরে সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম কমিয়ে দেন। চা পাতার চাপ বাড়ানোর জন্য একেক দিন একেক কারখানা বন্ধ রেখে কমিয়ে দেওয়া হয় দাম।
বর্তমানে প্রতি কেজি চা পাতা ১৭ টাকা কেজি দরে কিনলেও মোট ওজন থেকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০-১১ টাকা কেজি দরে চা পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে পঞ্চগড়ে ২০২৩ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৪০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। গত ২০২২ মৌসুমে চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৮ কেজি। এ হিসেবে ২০২২ সালের চেয়ে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৫ হাজার কেজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। এর আগের ২০২১ মৌসুমে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলনের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়, যা বাংলাদেশে জাতীয় উৎপাদনের ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। চা শিল্প ঘিরে এ জেলায় ২৭টি চা কারখানা গড়ে উঠেছে। চা উৎপাদনে টানা রেকর্ড হলেও চাষিদের কাঁচা চা পাতার দাম না পাওয়া, সিন্ডিকেট তৈরি করে ওজন কর্তনের ফলে হতাশায় অনেকেই গত দুবছরে চা বাগান উঠিয়ে ভিন্ন আবাদ করছেন।
অপরদিকে চাষিদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য পেতে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার। এর পর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নিলাম কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।
পরের মাস অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জেলায় প্রথম অনলাইনে চা নিলাম কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথম নিলামে বিক্রি হয়েছিল ২১২ টাকা দরে প্রতি কেজি চা। এ চা নিলাম কেন্দ্র চালুতে চাষিরা উৎপাদিত চা পাতার ন্যায্যমূল্য পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবায়নের পথ দেখছেন না তারা।
আবুল কালাম, আব্দুল করিম ও নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন চা চাষি জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার দর ১৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও কারখানা মালিকরা ওজন থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে পাতা বিক্রি করতে বাধ্য করছেন। আমরা কষ্ট করে চা আবাদ করি আর কারখানা মালিকরা বিনাশ্রমে অর্ধেক চা নিয়ে নেয়। তারা চাষিদের মানুষ মনে করে না। বর্তমানে চা পাতা বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছি তা দিয়ে কামলা খরচ আর পথ খরচই উঠে না। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চা বাগান পরিচর্যা করতে হয়েছে। অনেক সময় এনজিও লোক ঋণের কিস্তির জন্য বাড়িতে বসে থাকে। কিস্তি টাকা দিতে পারিনা। সার কীটনাশকের দোকানে বাকি সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় এখন পর্যন্ত ৯টি নিবন্ধিত ও ২১টি অনিবন্ধিত বড় চা বাগান (২৫ একরের বেশি) রয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৩৫৫টি। এ নিয়ে উত্তরের ৫ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ একর সমতল ভূমিতে চা চাষ হচ্ছে এবং এসব চা বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৮ হাজার শ্রমিকের।
তেঁতুলিয়া গ্রিন কেয়ার এগ্রো লিমিটেড এর ম্যানেজার মো. মঞ্জুর আলম (মঞ্জু) জানান, আমাদের কারখানায় চা পাতা বিক্রি করতে এসে ৩০-৪০% কাটা হয়েছে এরকম কোনো অভিযোগ নেই। তবে বৃষ্টির সময় ভেজা পাতার কারণে ১০-১৫% কাটা হয়ে থাকে। আর অবশ্যই চাষিদের কারখানায় ভালোমানের পাতা দিতে হবে। কিন্তু অনেক চাষি কারখানার নিয়ম মেনে পাতা না আনায় অনেক কারখানায় হয়তো এরকম পাতা কাটছে। আর আমাদের কারখানার নির্দিষ্ট করা চা চাষি রয়েছে, তারা নিয়মিত পাতা দিচ্ছেন। একই কথা জানান তেঁতুলিয়ার বিসমিল্লাহ টি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান।
তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খাঁন বলেন, এখানকার চা চাষিদের কাছ থেকে শুনছি কারখানায় চা পাতা বিক্রয় করতে গেলে ৩০-৪০% কেটে নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলার পরও তারা শুনছেন না।
চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, কারখানা মালিকরা চা চাষিদের কাছ থেকে চা পাতা কর্তন করে নেওয়ার অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়াও জেলা প্রশাসক, চা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। আশা করছি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে কাঁচা চা পাতার কম দাম ও কর্তন করার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। শিগগিরই চা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চা-চাষিদের লাভের টাকা গিলছেন কারখানা মালিকরা?
পঞ্চগড়ে চা-চাষিদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে। ‘পার্সেন্টেজ কর্তন’ নামে স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে অর্ধেক চা পাতার মূল্য হারাচ্ছেন চাষিরা। এতে লাভের চেয়ে লোকসান গুনে দিশেহারা প্রান্তিক চা-চাষিরা। এতে চা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
অভিযোগ করা হচ্ছে, কারখানাগুলো ইচ্ছেমত ৩০-৪০% পর্যন্ত ‘পার্সেন্টেজ’ কেটে রেখে পাতা কিনছে। এতে ৬০-৭০ ভাগ পাতার দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে চা উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা অঞ্চল পঞ্চগড়ে কয়েক বছরের রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছে। তবুও চা-চাষিদের মুখে হাসি ফুটছে না। তারা প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে গুনতে দিশেহারা। সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ‘পার্সেন্টেজ কর্তন’ এর মতো
স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছেন চাষিরা। এসব অভিযোগের তীর কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে। সেখানে কারখানা মালিকদের কাছে নিজেদের জিম্মি মনে করছেন চা-চাষিরা।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন কারণে কারখানায় পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হতে হচ্ছে চাষিদের। সমতলের চায়ের ভরা মৌসুম মে থেকে জুলাই। তবে এপ্রিল থেকে থেকেই শুরু হয় পাতা কাটা। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে পাতা উত্তোলন। এ সময়টা চাষিরা চা বাগানের পরিচর্যা করে চা পাতা উত্তোলনের উপযোগী করে তুলেন। মৌসুমের শুরুতে চা পাতা নিতে কারখানাগুলো পাতার দাম বাড়িয়ে পরে সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম কমিয়ে দেন। চা পাতার চাপ বাড়ানোর জন্য একেক দিন একেক কারখানা বন্ধ রেখে কমিয়ে দেওয়া হয় দাম।
বর্তমানে প্রতি কেজি চা পাতা ১৭ টাকা কেজি দরে কিনলেও মোট ওজন থেকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০-১১ টাকা কেজি দরে চা পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে পঞ্চগড়ে ২০২৩ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৪০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। গত ২০২২ মৌসুমে চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৮ কেজি। এ হিসেবে ২০২২ সালের চেয়ে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৫ হাজার কেজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। এর আগের ২০২১ মৌসুমে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলনের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়, যা বাংলাদেশে জাতীয় উৎপাদনের ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। চা শিল্প ঘিরে এ জেলায় ২৭টি চা কারখানা গড়ে উঠেছে। চা উৎপাদনে টানা রেকর্ড হলেও চাষিদের কাঁচা চা পাতার দাম না পাওয়া, সিন্ডিকেট তৈরি করে ওজন কর্তনের ফলে হতাশায় অনেকেই গত দুবছরে চা বাগান উঠিয়ে ভিন্ন আবাদ করছেন।
অপরদিকে চাষিদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য পেতে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার। এর পর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নিলাম কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।
পরের মাস অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জেলায় প্রথম অনলাইনে চা নিলাম কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথম নিলামে বিক্রি হয়েছিল ২১২ টাকা দরে প্রতি কেজি চা। এ চা নিলাম কেন্দ্র চালুতে চাষিরা উৎপাদিত চা পাতার ন্যায্যমূল্য পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবায়নের পথ দেখছেন না তারা।
আবুল কালাম, আব্দুল করিম ও নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন চা চাষি জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার দর ১৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও কারখানা মালিকরা ওজন থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে পাতা বিক্রি করতে বাধ্য করছেন। আমরা কষ্ট করে চা আবাদ করি আর কারখানা মালিকরা বিনাশ্রমে অর্ধেক চা নিয়ে নেয়। তারা চাষিদের মানুষ মনে করে না। বর্তমানে চা পাতা বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছি তা দিয়ে কামলা খরচ আর পথ খরচই উঠে না। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চা বাগান পরিচর্যা করতে হয়েছে। অনেক সময় এনজিও লোক ঋণের কিস্তির জন্য বাড়িতে বসে থাকে। কিস্তি টাকা দিতে পারিনা। সার কীটনাশকের দোকানে বাকি সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় এখন পর্যন্ত ৯টি নিবন্ধিত ও ২১টি অনিবন্ধিত বড় চা বাগান (২৫ একরের বেশি) রয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৩৫৫টি। এ নিয়ে উত্তরের ৫ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ একর সমতল ভূমিতে চা চাষ হচ্ছে এবং এসব চা বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৮ হাজার শ্রমিকের।
তেঁতুলিয়া গ্রিন কেয়ার এগ্রো লিমিটেড এর ম্যানেজার মো. মঞ্জুর আলম (মঞ্জু) জানান, আমাদের কারখানায় চা পাতা বিক্রি করতে এসে ৩০-৪০% কাটা হয়েছে এরকম কোনো অভিযোগ নেই। তবে বৃষ্টির সময় ভেজা পাতার কারণে ১০-১৫% কাটা হয়ে থাকে। আর অবশ্যই চাষিদের কারখানায় ভালোমানের পাতা দিতে হবে। কিন্তু অনেক চাষি কারখানার নিয়ম মেনে পাতা না আনায় অনেক কারখানায় হয়তো এরকম পাতা কাটছে। আর আমাদের কারখানার নির্দিষ্ট করা চা চাষি রয়েছে, তারা নিয়মিত পাতা দিচ্ছেন। একই কথা জানান তেঁতুলিয়ার বিসমিল্লাহ টি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান।
তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খাঁন বলেন, এখানকার চা চাষিদের কাছ থেকে শুনছি কারখানায় চা পাতা বিক্রয় করতে গেলে ৩০-৪০% কেটে নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলার পরও তারা শুনছেন না।
চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, কারখানা মালিকরা চা চাষিদের কাছ থেকে চা পাতা কর্তন করে নেওয়ার অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়াও জেলা প্রশাসক, চা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। আশা করছি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে কাঁচা চা পাতার কম দাম ও কর্তন করার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। শিগগিরই চা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল: ০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews247@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: December 11, 2024, 10:48 pm