রমজান কেন সর্বোত্তম মাস?

এনামুল করীম ইমাম

  বিশেষ প্রতিনিধি    27-03-2023    148
রমজান কেন সর্বোত্তম মাস?

রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান মাস এসেছে। [নাসায়ি, হাদিস : ২১০৬] রমজানুল মুবারকে অনেক বরকত অবতীর্ণ হয়। ইমামে রাব্বানি মুজাদ্দিদে আলফেসানি রহ. তাঁর মাকতুবাতে বলেন: রমজানুল মোবারকে এই পরিমাণ বরকত অবতীর্ণ হয় যে বাকি পুরো বছরের বরকত রমজানের বরকতের সঙ্গে তুলনাই হয় না। যেমন সমুদ্রের সঙ্গে সামান্য কয়েক ফোঁটা পানির কোনও তুলনা চলে না। এখানে রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো:

বরকতপূর্ণ মাস

বস্তুত সৃষ্টিজগতের সবকিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মুখাপেক্ষী। একজন সচেতন মুসলিম যেকোন প্রয়োজনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শরণাপন্ন হয়। দোআ এক ধরনের জিকির (স্মরণ)। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা পবিত্র কোরআনে ও তাঁর রাসুলের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে তাঁর কাছে চাইতে হবে। নগদ ইসলামিক অ্যাপে ইসলামিক জীবন-এর প্রতিদিনের দোয়া ফিচারে আছে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ। লগইন করেই প্রতিদিনের দোয়া ফিচারটি ব্যবহার করে শিখে নিন এবং আমল করুন প্রয়োজনীয় দোয়া।

হজরত সালমান ফার্সি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন :

হে লোকসকল! তোমাদের ওপর একটি মহান ও বরকতপূর্ণ মাস ছায়া বিস্তার করেছে। [সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৪৩৬]

সুমহান মাস

এই মাসকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম شَهْرٌ عَظِيمٌ বা ‘মহান মাস’ বলেছেন। একটু চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ তাআলা নিজেও عظيم বা মহান। এরশাদ হচ্ছে :

তিনি (আল্লাহ) তো সুউচ্চ-সুমহান।[সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫]

আল্লাহ তাআলার প্রিয়তম রাসুলের চরিত্রও عظيم বা সুমহান। এরশাদে বারি তাআলা :

(হে নবি!) আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী। [সুরা কলম, আয়াত : ০৪]

পবিত্র কোরআনুল কারিমও عظيم বা সুমহান। কোরআন নিজেই জানাচ্ছে :

আর আপনাকে আমি বারবার পঠিত সাত আয়াত এবং সুমহান কোরআন উপহার দিয়েছি। [সুরা হিজর, আয়াত : ৮৭]

এই রমজান মাসও عظيم বা সুমহান। সুতরাং এই মাসে ইবাদতের বিনিময়ে যে সাফল্য আসবে তাও হবে عظيم বা সুমহান।

কল্যাণের মাস

পবিত্র মাহে রমজান হলো আল্লাহমুখী হওয়া, তাঁর প্রিয়পাত্র হওয়া, তাকওয়া অর্জন করা এবং গুনাহ থেকে পাক-পবিত্র হয়ে তাঁর নৈকট্য অর্জনের মাস। তাই রমজানের চাঁদ উঠতেই ঘোষণা হতে থাকে:

ওহে মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী! কল্যাণের (নেকি) পথে তুমি (আরও দ্রুত) অগ্রসর হও। আর ওহে অকল্যাণের পথে ধাবমান! তুমি নিবৃত্ত হও, নিয়ন্ত্রিত হও। [তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২; ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৬৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৭৯৫, ২৩৪৯১]

মুমিনের জন্য এ মাস নেকি লাভ ও তাকওয়া অর্জনের বসন্ত। এ মাসে সে সংগ্রহ করে তার পুরো বছরের ইমানি-আমলি এবং আত্মিক পরিশুদ্ধির পাথেয়। বলা যায়, এ মাস সারা বছরের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। তাকওয়ায় শক্তিমান হওয়ার মাস। এক বর্ণনায় এসেছে :

মুসলিমদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে উত্তম মাস আর নেই। কারণ, মুসলিম এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সঞ্চয় করে। এ মাস মুমিনের জন্য মহামূল্যবান। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৩৬৮; সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৮৮৪; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস : ৪৭৭৯]

দোয়া কবুলের মাসv এইমাস আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার মাস। সুতরাং এমাসে দোয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন :

অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রজনীতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। আর প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৪৫০, মুসনাদে বাযযার, হাদিস : ৯৬২] v সুতরাং যে কোনও মুহূর্তে দোয়া কবুল হতে পারে। এজন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।

মাগফিরাতের মাস

বিভিন্ন ঋতুর মাঝে একটি ঋতু নাম বসন্ত। যখন এই বসন্ত ঋতু আসে তখন চারিদিক সবুজ-শ্যামল হয়ে ওঠে। ফুলে ফুলে গাছের শাখা ভরে যায়। সুগন্ধে সুরভিত থাকে পরিবেশ। মনে করা যায়, রমজানুল মোবারক হলো মাগফিরাতের ঋতু। এই মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য মাগফিরাতের দৃশ্য সাজান। পানির মাছ, গর্তের পিপিলিকা, শূন্যের পাখি রোজাদারদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

যে ব্যক্তি খাঁটি ঈমান ও এখলাসের সঙ্গে (আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে) রমজানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৬০]

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজানের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহকে মুছে দেয়, যদি সে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। [সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৩] সবরের মাস

আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসকে সবরের মাস বলেছেন। হজরত সালমান ফার্সি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবিজি বলেন :

রমজান মাস সবরের মাস, আর সবরের বিনিময় হলো জান্নাত। [সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৩৩৬। হাদিসটি যয়িফ। কারণ, এই হাদিসের একজন রাবি হলেন আলি ইবনে যায়েদ ইবনে জুদআন। মুহাদ্দিসগণ তাকে যয়িফ বলেছেন। -সিয়ারু আলামিন-নুবালা : ২/২৯৫]

এই মাস সবরের হওয়া স্পষ্ট। কারণ, এতে সব ধরনের কামনা ও জৈবিক চাহিদার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে যে তোমরা সাহরি ও ইফতারের মাঝে কোনও ধরনের পানাহার, কামনা-বাসনা পূর্ণ করতে পারবে না। অনুরূপভাবে অনর্থক কাজকর্ম এবং লাগামহীন কথাবার্তা থেকে সবরও লক্ষণীয়।

মিথ্যা ও পরনিন্দা থেকে সবর করতে হবে। অর্থাৎ এগুলোর কাছেও যাওয়া যাবে না। রোজা রেখেও আপনি যদি রাগারাগি, গালাগালি ও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হন। মিথ্যা, অহংকার, হিংসা, চোগলখুরি, পরনিন্দা, গিবত, জুলুম, সুদ, ঘুষ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও প্রতারণায় নেমে পড়েন, তাহলে আপনি রোজার নামে ধোঁকায় পড়ে আছেন।

সহানুভূতির মাস

এই মাসে সহানুভূতির ব্যাপারে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন:

রমজান মাস হলো সহমর্মিতার মাস। [সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৩৩৬]

কারণ, রোজা রেখে আপনাকে অনুভব করতে হবে যে, আজ আপনি না খেয়ে আছেন। আমার অসহায় ভাই যখন খাবার না পান তখন তিনিও এমন কষ্ট পান। সুতরাং আমার ভায়ের বিপদে আমাকে পাশে দাঁড়াতে হবে। বিপদের সময় তাকে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। এই অনুভূতি সৃষ্টি রোজার অন্যতম লক্ষ্য।

দানশীলতার মাস

আমরা আগেই বলে এসেছি, এই মাস সহানুভূতির শিক্ষা নিয়ে আগমন করে। এজন্য এমাসে দান সদকার সওয়াবও অন্যান্য সময় থেকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হাদিসে নববিতে এসেছে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানের সাগর এমনিতেই সারা বছর উত্তাল থাকতো; কিন্তু রমজানুল মোবারকে তাঁর দানশীলতা এমন হতো, যেমন প্রচণ্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া, যে ব্যক্তি তাঁর কাছে আসত তাকে অনেক বেশি দিতেন। এজন্য আমাদেরও এ মাসে বেশি বেশি দান সদকা করা উচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন :

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। অবশ্য রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা (অন্য সময়ের চেয়ে) অধিকতর বৃদ্ধি পেত, যখন জিবরাইল আলাইহিস সালাম তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। সুতরাং নবিজি তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হয়ে যেতেন। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৬১৬]

লাভের মাস

এই মাসে দান করলে কোনও লোকসান নেই। কারণ, এই মাসে মুমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হজরত সালমান ফার্সি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

রমাযান মাসে মুমিনের রিজিক বেড়ে যায়। [সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৩৩৬]

ইবাদতের মাস

রমাযান মাসে রোজাদারের ইবাদতের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারী মহিলাকে বললেন :

তুমি কেন আমাদের সঙ্গে হজ্জ করতে যাওনি? তিনি বললেন, আমাদের পানি বহনকারী দুটি মাত্র উট আছে।একটিতে আমার ছেলের পিতা (স্বামী) ও তাঁর ছেলে হজ্জ করতে গেছেন। অন্যটি পানি বহনের জন্য আমাদের কাছে রেখে গেছেন। নবিজি বলেন, রমজান মাস এলে তুমি ওমরা করবে। কেননা এ মাসের ওমরা একটি হজ্জের সমতুল্য। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮২; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১২৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২০২৫]

হাজার মাসের চেয়েও সেরা

এই মাসের সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে কদরের রাত্রের ইবাদত। কেউ যদি এই একটি রাত ইবাদতে কাটিয়ে দেয়, তাহলে সে যেন হাজার মাস ইবাদত করল। পবিত্র কোরআনুল কারিমে এরশাদ হচ্ছে :

লাইলাতুল কদর হাজার মাসের (ইবাদতের) চেয়ে উত্তম। [সুরা ক্বদর, আয়াত : ০৩]

কোরআনের মাস

এ মাসের সঙ্গে কোরআন মাজিদ তেলাওয়াতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। কেননা এ মাসে কোরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে। এজন্য কোরআন তেলাওয়াত করা এবং শোনা এ মাসের বিশেষ ইবাদত। এটাই ছিল প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন :

জিবরাইল আলাইহিস সালাম রমাযানের প্রতি রাতে (প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে) আগমন করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কোরআন শোনাতেন। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৬১৬]

শাফায়াতের মাস

রমাযান মাস শাফায়াতের মাস। এই রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিনও আপনাকে ছেড়ে যাবে না। কঠিন বিপদের দিনে আপনার জন্য সুপারিশ করবে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন :

রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আমার রব্ব! আমি একে দিনের বেলায় খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার পক্ষে আমার সুপারিশ কবুল করুন। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৬২৬; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস : ২০৩৬]

বিজয়ের মাস

চিরস্মরণীয় ও গৌরবময় ইসলামের প্রথম যুদ্ধ হলো বদর যুদ্ধ। এটি ছিল সত্য ও মিথ্যা, হক ও বাতিল, মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যকার ঐতিহাসিক যুদ্ধ। দ্বিতীয় হিজরি। ১৭ রমাযান এই বিজয় অর্জিত হয়। এই হিসেবে এটি বিজয়ের মাস। আল্লাহ তাআলার মাস

রোজার ফজিলত সম্পর্কে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা হাদিসে কুদসিতে এরশাদ করেন :

আদম সন্তানের সব কর্ম তার নিজের জন্য। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো রোজা। এটা শুধু আমারই জন্য। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৪৯২]

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, অন্যান্য মাসের ওপর রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে আর কোনও আলোচনার দরকার নেই।

লেখক : ইতিহাস গবেষক ও মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

ধর্ম ও জীবন-এর আরও খবর