বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ

  বিশেষ প্রতিনিধি    21-10-2022    145
বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ

ঘুমধুমের বাইশফঁড়ি সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণের শব্দে মানুষ হতচকিত হয়ে পড়ে। তবে ভয়ে তটস্ত নন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের সময় দুটি বিস্ফোরণের শব্দে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ব্যবসায়ী মোঃ হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, মিয়ানমারের কিছু ভেতর থেকে ঘুমধুমের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে এসব গোলার আওয়াজ আসে তাদের কাছে । তারা আরো জানান, গত ক’দিন ধরে সীমান্তে গুলির শব্দ শুনা না গেলেও আজ হঠাৎ এ আওয়াজের সীমান্তের লোকজন কিছুটা ইতস্তত বোধ করে। তবে গোলাগুলির এ শব্দ তেমন ভয়ের কারণ হিসেবে দেখছে না তারা। স্থানীয় সূত্র গুলো আরো জানান, তাদের এলাকার সীমান্ত পরিস্থিতি আগের তুলনায় বহুগুণে শান্ত আছে। লোকজনের মনেও অনেকটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কমতে শুরু করেছে। তমব্রু বাজারের তরুণ ব্যাবসায়ী মোঃ সরোয়ারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঘর থেকে খাবার খেয়ে দোকানে আসার সময় মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে কয়েকটি বিস্ফোরণ শব্দ শুনেছেন তিনি। যা আগের তুলনায় কিছুটা কম।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪৫, ৪৬ নাম্বার সীমানা পিলার কাছাকাছি থাকা কৃষক মোঃ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তাদের ওখানকার সীমান্ত পরিবেশ একেবারেই শান্ত গত দশ দিন পর্যন্ত। কারণ এ সময় কোন গোলাবারুদের শব্দ মিয়ানমারের ভিতর থেকে আসেনি। ঘুমধুমের স্থানীয় এক সংবাদ কর্মি জানান সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতেও ঘুমধুমে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথ দিয়ে আসা অবৈধ বিদেশী সিগারেট, বিভিন্ন ব্রান্ডের বেদেশী মদের রমরমা বাণিজ্য চলছে, যার কিছু চালান সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ চালান গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে আপন গতিতে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, তিনি এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিষদ করছেন। গোলাগুলির শব্দ সীমান্তের কাছাকাছি তেমন শুনা যায় না।মিয়ানমারের ভেতরে শুনা গেলেও তাতে তেমন প্রভাব পড়ছে না তার এলাকায়। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে তাদের বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলি ও হানাহানি চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির টহলদল সতর্ক দেখা যায় ঘুমধুম সীমান্তে।

সারাদেশ-এর আরও খবর