১৪ লক্ষ ইয়াবা পাচার মামলা : রায় বৃহস্পতিবার

  বিশেষ প্রতিনিধি    15-03-2023    192
১৪ লক্ষ ইয়াবা পাচার মামলা : রায় বৃহস্পতিবার

৪২ কোটি মূল্যের এক সাথে ১৪ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার এবং ইয়াবা বিক্রির ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০০ নগদ টাকা উদ্ধারের মামলার রায় বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ। বুধবার ১৫ মার্চ কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ইয়াবা টেবলেট ও নগদ টাকা উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় ঘোষণার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন পূণ: ধার্য করা হয়েছে।

একই আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম আববাস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ২ টার দিকে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা বিভাগ) এর একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল সংযোগ সেতুর উত্তরে ভারুয়াখালী খাল থেকে একটি কাঠের তৈরি বোট আটক করে। বোট থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়াছটার নজরুল ইসলাম এর পুত্র জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক (২৯) ও মোজাফফর আহমদ এর পুত্র নুরুল আলম (৫৫) প্রকাশ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম পালিয়ে যায়। সে কক্সবাজারের টেকনাফের মোছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরনার্থী। ধৃত আসামীদের দেখানো মতে উক্ত বোট তল্লাশি করে ৪২ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ লক্ষ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

পরে আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি মতে, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ৫ টা ৩৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়া ছটার আাসমী জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ইয়াবা বিক্রির ২টি বস্তাভর্তি নগদ ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আসামী আবুল হোসেনের পুত্র আবুল কালাম (৫০) এবং আবুল কালাম এর পুত্র শেখ আবদুল্লাহ (১৯) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা বিভাগ) এর ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক, নুরুল আমিন প্রকাশ বাবু, আবুল কালাম ও শেখ আবদুল্লাহ এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার কক্সবাজার সদর থানা মামলা নম্বর : ২৯/২০২১, জিআর মামলা নম্বর : ৯০/২০২১ (সদর) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৩৩২/২০২৩ ইংরেজি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কক্সবাজার সদর থানার এসআই এস.এম শাকিল হাসান ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আমলী আদালতে মামলাটির চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। আদালতে চার্জশীট দাখিলের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে রোববার চার্জ গঠন (অভিযোগ) করা হয়।

মামামলাটির ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার ১৫ মার্চ দিন ধার্য্য করা হয়। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় বুধবার ঘোষণা করার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন পূণ: ধার্য করা হয়েছে।

মামলাটি চার্জ গঠনের মাত্র ৫২ দিন পর বিচারের সকল ধাপ সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম আববাস উদ্দিন।

সারাদেশ-এর আরও খবর