ডুলাহাজারায় বনরক্ষক-বালু ব্যবসায়ী হাতাহাতি

  বিশেষ প্রতিনিধি    08-04-2023    90
ডুলাহাজারায় বনরক্ষক-বালু ব্যবসায়ী হাতাহাতি

অবৈধ বালু বাণিজ্যে ঘুষের চুক্তিকৃত টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বাজারে বনরক্ষক – বালু ব্যবসায়ীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।

৮ এপ্রিল রাত পৌনে আটটায় ডুলাহাজারা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রধান সড়কে ডুলাহাজারা বনবিটের বনকর্মী নুর মোহাম্মদ ও বালু ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম সোনা মিয়ার মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরক্ষণে ঘটনার সময় উপস্থিত ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা অবনী কুমার রায় অবস্থা বেগতিক দেখে অবৈধ বালু বাণিজ্যের ঘুষের অবশিষ্ট টাকা না নিয়েই বনকর্মী নুর মোহাম্মদকে নিয়েই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়- বগাচতর-মেধাকচ্ছপিয়া মৌজা,দাঙ্গার বিল, বগা ছড়ি, মালুমম্যা কমিউনিটি সেন্টার এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাচার করছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র।

অভিযোগ রয়েছে-স্থানীয় বনরক্ষীদের মাসিক চুক্তিতে ম্যানেজ করে পরিবেশ বিধ্বংসী এই কাজ দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু বালু খেকো চক্র।

হাতাহাতির ঘটনায় জড়িত ডুলাহাজারার রং মহলের মোহাম্মদ নুরুর পুত্র বালু ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম সোনা মিয়া জানান, বালু মহাল থেকে প্রতিদিন চারটি ট্রাকে করে নিরবিচ্ছিন্ন বালি বের করতে ডুলাহাজারা বন বিটের সাথে মাসিক ৮০ হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তি করি। কথামত বিগত দশদিন আগে চুক্তির আগাম ৫০ হাজার টাকা বিট কর্মকর্তা অবনী শংকর রায়ের উপস্থিতিতে বিটের ক্যাশিয়ার নুর মোহাম্মদকে প্রদান করি।

কিন্তু ৮ এপ্রিল রাতে ডুলাহাজারা বাজারে এসে বিট কর্মকর্তা অবনী ও নুর মোহাম্মদ চুক্তির বাকী টাকা দাবী করে। চুক্তিতে চারটি ডাম্পার থাকলেও আমার বালু টেনেছে তিনটি ডাম্পার। একটির টাকা কম দিতে চাওয়ায় দু’জন মিলে আমাকে মারতে আসে। পরে এ নিয়ে আমার সাথে ক্যাশিয়ার নুর মোহাম্মদের হাতাহাতি হয়েছে। জাস্ট-এতটুকুই।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান জানান, রাতের আলো আঁধারীতে এরা কিছু একটা নিয়ে তর্ক করছিল। পরে দু’জন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আমি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করি।

এ ব্যাপারে জানতে- ডুলাহাজারা বন বিট কর্মকর্তা অবনী শংকর রায় ও বনরক্ষী নুর মোহাম্মদের মুঠোফোনে বেশ ক’বার ফোন দিই। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।

সারাদেশ-এর আরও খবর