রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগ: বিজিবির টহল জোরদার

  বিশেষ প্রতিনিধি    20-01-2023    163
রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগ: বিজিবির টহল জোরদার

বান্দরবানে তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও আগুন লাগানোর ঘটনায় সেখানে চরম আতংকে দিন কাটছে স্থানীয়দের।

ওই সীমান্তে ৫৩০টি ঘরে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।

আগুন লেগে ক্যাম্পের অধিকাংশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

জীবন বাঁচাতে সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ঘটনার পর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তের ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশারীফাড়ি, কোনারপাড়া, মধ্যমপাড়া এলাকায় তাদের টহল জোরদার করেছে।

রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, বুধবার গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের পর রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকজন মিয়ানমারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। হঠাৎ করে উত্তেজনায় সবাই আতংকিত।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় শুন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি। এ সময় নারী, শিশুসহ অনেক রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, সীমান্তের পরিবেশ হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে সংখ্যা কয়টি হবে তা এখনও জানা যায়নি। সীমান্তের সার্বিক বিষয় বিজিবি নিয়ন্ত্রণ করে। তারই এই বিষয়ে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। ঘটনার পর আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে অবহিত করেছি।

পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে বলে জানান ইউএনও।

গত ১৮ জানুয়ারি দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নতাবাদী দুটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় রোহিঙ্গা নাগরিক হামিদুল্লাহ (২৭) ও মহিবুল্লাহ (২৫) নামে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হামিদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে মহিবুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই রোহিঙ্গা শিবিরি আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। প্রাণভয়ে অনেক রোহিঙ্গা নাগরিক ক্যাম্প ছেড়ে আশপাশে পালিয়ে যায়।

জাতীয়-এর আরও খবর