নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এখনো হয়ে উঠেনি: ইসি

  বিশেষ প্রতিনিধি    20-10-2023    78
নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এখনো হয়ে উঠেনি: ইসি

কা ২০ অক্টোবর ২০২৩রাত ১২:৪৬:১৬ ডেস্ক নিউজঃ অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের যে অনুকূল পরিবেশের প্রত্যাশা করা হয়েছিলো সেটি এখনো হয়ে উঠেনি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যমের সম্পাদকদের বরাবর পাঠানো এক ধারণাপত্রে এই কথা উল্লেখ করেছে ইসি। গণমাধ্যম সম্পাদকদের পাঠানো এক পত্রে এমন ধারণার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, আগামী ২৬ অক্টোবর ৩৮ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন ভবনে। ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি। প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতবেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব-স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। ধারণাপত্রটিতে আরও বলা হয়েছে, সংকট নিরসনের বিষয়টি রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই। নির্বাচন বিষয়ে দেশে পর্যাপ্ত আইন রয়েছে। তবে আইন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমান্তরাল মিতক্রিয়া না হলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আইনের বাস্তবায়ন সহজসাধ্য হয় না। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ, মতানৈক্য ও সংকট হতেই পারে। পারম্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অস্বেষণ করা হলে তা অধিকতর ফলদায়ক হতে পারে। পরমতসহিষ্ছুতা, পারষ্পরিক সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য নিয়ামক। আরও বলা হয়েছে, কমিশন গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করে না, নির্বাচন নিয়ে কাজ করে। নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ ও বাহন। নির্বাচন আয়োজনে যদি সংকট নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা অপরিহার্য৷ স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমানতা নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিপাদনে সহায়ক হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। তাই আসন্ন নির্বাচনে কমিশন দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণে, পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনসহ নির্বাচন সম্পর্কিত আরো বিষয় প্রচারণার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হিতকর ভূমিকা রাখতে পারে।

জাতীয়-এর আরও খবর