ডাকাত আতংকে ঘুম হারাম ১০ গ্রামের মানুষের,অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে এলাকাবাসী

  বিশেষ প্রতিনিধি    10-10-2022    149
ডাকাত আতংকে ঘুম হারাম ১০ গ্রামের মানুষের,অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে এলাকাবাসী

কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ায়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ডাকাত আতংকে। অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, নিরীহ কৃষককে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানসিক নির্যাতন করে আসছে কয়েকটি ডাকাক গ্রুপ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। এমন ডাকাত অপহরণের আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে জোয়ারিয়ানালার ১০টি গ্রামবাসীমের ২০হাজার মানুষের। পালাক্রমে পাহারায় রাত কাটাচ্ছেন তারা। জোয়ায়ারিয়ানালার বাসিন্দা কৃষক মোস্তাক বলেন, আজ সকালে আমাদের গ্রামের একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। আমরা বিষয়টি প্রশানসকে জানায়।তখনও কেউ আসেনি। শেষ ভরসা হিসাবে আমাদের গ্রামের সন্তান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন কে খবর দিলে সে এলাকার লোকজন নিয়ে পাড়ারের ভিতর থেকে কৃষক আজিজকে উদ্ধার করা হয়। আমাদের পাশে প্রহরী হিসাবে সাদ্দাম কাজ করে। আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, আমাদের এলাকায় অপহরণ দীর্ঘদিদের। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এসব অপরাধ গুলো হচ্ছে। আজ যদি সাদ্দাম না হতো তাহলে আমরা আমাদের গ্রামের এক যুবকে হারাতাম। এর আগে রোববার সকালেও মহিষ নিয়ে জোয়ারিয়ানালার পাহাড়ি এলাকায় যায় রাকাল আজিজ। তাকে অস্ত্রের মূখে অপহরণ করে অমানিসক নির্যাতন করা হয়। প্রায় তিন ঘন্টা পর এলাকাবাসির তৎপরতায় জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পায় আজিজ। আজিজ বলেন, কিছু সন্ত্রসী আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্যাতন করে। আমাকে আধা ঘণ্টা বেধে নির্যাতন করা হয়। আজ যদি এলাকার মানুষ না যেত তাহলে হয়তো বা আমার পৃথিবীর মুখ দেখা হত না। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বেশকিছুদিন ধরে ডাকাত দল আবারো সক্রিয় হয়েছে। কিছুদিন আগেও তিন লাখ টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে ফিরেছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষি ও বিভিন্ন চাষাবাদ হুমকির মূখে পড়বে। জোয়ায়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন প্রিন্স বলেন, আমার ইউনিয়নের একজন রাখাল কে কিছু ডাকাত অপহরণ করে নিয়ে যায়। শুধু আজ নয় এই রকম অনেক ঘটনা ঘটে প্রায় সময়। যদি প্রশাসন একটু তৎপরতা চালায় সব অপরাধীরা ধরা পরবে। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমার এলাকার একজনকে রাখাল কে অপহরণ করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। খবর পেয়ে আমি এলাকার মানুষ নিয়ে গভীর পাহাড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এই এলাকায় ২হাজারের ওপরে পরিবার আছে এবং প্রায় ২০হাজারের উপরে মানুষ আছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আমি সবসময়ই কাজ করে যাবো ।

সারাদেশ-এর আরও খবর