প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে কক্সবাজারের মানুষ

  বিশেষ প্রতিনিধি    04-10-2022    139
প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে কক্সবাজারের মানুষ

বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে নানা আয়োজনে বিশ্ব বসতি দিবস পালন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজনে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে র‌্যালী শেষে কউক ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর (অব:) নুরুল আবছার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, কক্সবাজার সাগর পাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে ভূমি ব্যবহার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। জীবন জীবিকা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদের মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে। এছাড়াও খাস জমি গুলো সরকারের বিভিন্ন বড় বড় প্রজেক্টের জন্য নেওয়া হচ্ছে। দেশের বড় বড় কোম্পানী গুলোও জমি ক্রয় করে নিচ্ছেন। এতে আমরা প্রতিনিয়তই ভূমিহীন হচ্ছি। কক্সবাজারের মানুষ যেহারে প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে এতে করে মানুষ যে কোনো সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। তাই একটি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের জন্য বসতি নিশ্চিত করা যেতে পারে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ব বসতি দিবসে বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান কমোডোর নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। কক্সবাজারের কোন ভূমি অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যাবেনা। কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১.২০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব জাতীয় গড়ের প্রায় ৩/৪ গুণ। এ কারণে এখানে বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠেছে ও এগুলো বর্ণিত বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে এবং প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমে একটি বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে। ফলাফল হিসেবে কক্সবাজার বাংলদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় শহরগুলোর মধ্যে একটি। তাই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার এবং স্থানীয় উপায়গুলি যাচাই করার মাধ্যমে এই অঞ্চল কার্যকরভাবে জলবায়ু সমাধানে অবদান রাখতে পারে। শহরটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণের অবদান রাখার সম্ভাবনা রাখে। একটি টেকসই পদ্ধতিতে সুনীল অর্থনীতি, মৎস এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য পূরণ এবং সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করার একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা, জলবায়ু সংকট মোকাবেলার সম্ভাব্য সমাধান বের করা এবং এসডিজি আরও স্থানীয়করণ করা সম্ভব। সভায় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এবং বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশ-এর আরও খবর