আইন প্রয়োগকারীর ভুলের কারনে প্রধান শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের জেলে যেতে হলে আমাকেও দায়ী থাকতে হয়: এমপি কমল

  বিশেষ প্রতিনিধি    15-03-2023    193
আইন প্রয়োগকারীর ভুলের কারনে প্রধান শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের জেলে যেতে হলে আমাকেও দায়ী থাকতে হয়: এমপি কমল

আইন প্রযোগকারীর ভুল সিদ্ধান্তের কারনে প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জেলে যেতে হলে আইন প্রনেতা হিসাবে আমি মেনে নিতে পারি না।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ই মার্চ) কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গনে চিহ্নিত কিছু বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী মানববন্ধন ও বক্তব্য রাখায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আমার বিপক্ষে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একজন আইন প্রযোগকারীর ভুল সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।

মুলত তাদের এই সমর্থনের মাধ্যমে একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, দুইজন ইউপি সদস্য, তিনজন রাজনৈতিক নেতা, তিনজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একজন সাংবাদিক এসএম জাফর আলম, যিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক। যিনি গত তিনমাসেও ওই ঘটনাস্থলের দিকে যাননি এবং ছিলেন না। তাদেরকে সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় জেল খাটতে হচ্ছে। যার মামলা নং সিআর -২৬৯/২৩।

মামলার বাদী জনৈক সাহেদুর রহমান, কক্সবাজার আদালতের পেশকার পদে চাকরি করেন। সম্পর্কে বাদি বিবাদী দুজনই আপন খালাতো ভাই। মুলত দুজনই জমির খতিয়ান সূত্রে মালিক। বাদি পক্ষ দুইদিন আগে সেখানে দেয়াল দিতে যায়, তখন বিবাদী পক্ষ ছিল না। আবার বিবাদী পক্ষ যখন দুইদিন পরে ওখানে অস্থায়ী ঘর তৈরিতে যায়, বাদি পক্ষ আমার কাছে আসেন। তখন আমি রামু থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফোনে অবগত করি। আমার পরামর্শে রামু থানার ওসি সাহেব থানায় একটা শালিশী বৈঠক করেন। সে বৈঠকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো সহ অন্য সকল বিচারকরা দুই পক্ষকে সমান করে জমি ভাগ করে নিতে বলেন।

কিন্তু বাদী পক্ষ পরবর্তীতে কোর্টে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্রত বিচার আইনে মামলা করলে, জনৈক আইনপ্রয়োগকরী মামলাটি তদন্তে না দিয়ে, রামু থানাকে মামলা হিসাবে রুজু করার জন্য নির্দেশ দেন। অথচ সেখানে কোন মারামারি হয়নি, কথা কাটাকাটিও হয়নি। এমনকি লাঠিসোটা প্রদর্শন, আতংকিত হওয়ার মতো কোন বিস্ফোরনও হয়নি। বাজারের শত শত মানুষ স্বাক্ষী রয়েছেন। এই সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলার কারনে তাদেরকে জেলে যেতে হলে, আইনপ্রনেতা হিসাবে আমি মেনে নিতে পারি না। আইনপ্রয়োগকরীর ভুলের খেসারত যদি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনকে দিতে হয়, আইনপ্রনেতা হিসাবে জনতা আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন।

যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন মুলত বিষয়টি রাজনৈতিক। মানববন্ধনে বয়স্ক এক আইনজীবীকে দেখলাম, যিনি আমার বাবার বিরুদ্ধেও মানববন্ধন করেছিলেন। অল্প কয়েকজন জুনিয়র আইনজীবী হতাশাগ্রস্থ হয়ে, আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী এক লক্ষ ভোটে পরাজয়ের আশংকা দেখে নতুন ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করার চেষ্ঠা করছেন।

যারা মহামান্য আদালতের অবমাননা দেখছেন, তারাই গত একমাস আগে কক্সবাজারের সফল জজ সাহেবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলেন। যিনি গত এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আট হাজার মামলা নিস্পতি করেছেন।

আইনপ্রয়োগকারী ভুল করলে আইনপ্রনেতা হিসাবে যদি জনগনের স্বার্থের কথা না বলি, তাহলে দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠা হবে না।

সারাদেশ-এর আরও খবর