ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিলেন ভুক্তভোগী

  বিশেষ প্রতিনিধি    09-03-2024    38
ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিলেন ভুক্তভোগী

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করা তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা জানান, ‘আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তরুণী ও তার মাকে বাড়ি থেকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিল। শুক্রবার আদালতে পাঠালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় আদালতের নির্দেশ পাইনি। তাই জবানবন্দিতে কী উল্লেখ করেছেন, আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কী আদেশ দিয়েছেন এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। আগামী রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আবেদন করেন তরুণীর দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই। আদালত ডুমুরিয়া থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় র‌্যাব ও পুলিশ। পরে পুলিশ তরুণী ও তার মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সারারাত থানায় অবস্থানের পর শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

সারাদেশ-এর আরও খবর