১৭তম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

  বিশেষ প্রতিনিধি    19-01-2023    189
১৭তম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

রংপুরের পীরগঞ্জে ১৭তম স্ত্রী তানজিনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ১৬ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় প্রদান করেন।

এ সময় আসামি আবু সাঈদ পলাতক ছিলেন। মামলায় অপর আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে তিনিও পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, ‘অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন। তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে ওই উপজেলার পালগড়া গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন- আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরবর্তী সময়ে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামের আরও এক নারীকে নিয়ে করেন।

ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ (৪২) তার নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার (২০) সহযোগিতায় তানজিনাকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়াউল হক। ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামি আবু সাঈদ। অপরদিকে তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক রয়েছেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

সারাদেশ-এর আরও খবর