মহেশখালীর খাইরুল আমিন হত্যা মামলা: সাবেক মেয়র ও ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ৫জন কারাগার

  বিশেষ প্রতিনিধি    10-11-2022    189
মহেশখালীর খাইরুল আমিন হত্যা মামলা: সাবেক মেয়র ও ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ৫জন কারাগার

মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন হত্যা মামলার ৫ আসামীর জামিন বাতিল কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

যাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে তারা হলেন-মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, মহেশখালীর বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামশুল আলম, নজু মিয়ার পুত্র মোঃ ইব্রাহিম ও মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সুলতানুল আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটির সর্বশেষ যুক্তিতর্কের দিন ছিলো। যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খায়রুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। ঘটনার দীর্ঘ ৩২ বছর পর মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করা হলো।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন কক্সবাজার জেলা পরিষদের তৎকালীন সদস্য ও তরুণ রাজনীতিবিদ খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, মহেশখালীর গোরকঘাটা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শামশুল আলম, মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, হামিদুল হক, নাসির উদ্দিনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে ৩২ বছর পর মামলা রায়ের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

সারাদেশ-এর আরও খবর