কক্সবাজারে আগস্ট মাসের বন্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন প্রকাশ : ৬২২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

  বিশেষ প্রতিনিধি    30-08-2023    108
কক্সবাজারে আগস্ট মাসের বন্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন প্রকাশ : ৬২২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কক্সবাজারে সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ,পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ৬০ ইউনিয়নে চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়া ছাড়াও অবকাঠামোগতও ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে জেলার অর্থীক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৬২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ।

৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত টানা বন্যা পরবর্তী সময়ে জেলার ৬০টি ইউনিয়নে পর্যবেক্ষণ শেষে এ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেলার ৬০টি ইউনিয়নে পর্যবেক্ষণ শেষে ৬২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বন্যায় ১ লাখ ২ হাজার ৬০৮টি পরিবারের ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪০ সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ সময় বন্যার পানিতে ডুবে এবং পাহাড়ধসের ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছে পাঠানো জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার দেওয়া তথ্যমতে, ৭ আগস্ট টানা বর্ষণ শুরু হলে কয়েকটি উপজেলায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।

একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

বিশেষ করে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় প্রায় সব ইউনিয়ন পানির নিচে তলিয়ে যায়।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং বিভিন্ন উপসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, বন্যায় জেলায় ৫০৬ দশমিক ২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়।

এতে ৩ হাজার ১৮০টি ঘর, ১২ হাজার ২৩৯ দশমিক ৫ হেক্টর ফসলি জমি, ২২টি কালভার্ট, ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১২ হাজার ৬২৩টি নলকূপ এবং ২৮ হাজার ৯৩৬টি লেট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া পানিতে ৪২টি ছাগল, ৩২টি গরু, একটি মহিষ, ১ হাজার ১১৬টি হাঁস এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯১০টি মুরগি মারা যায়।

২৪ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৪৯ দশমিক ২৯ কিলোমিটার আধা-পাকা সড়ক এবং ১২৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ৭৭ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ৪৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও ১৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া পুকুর, দিঘি, খামার ও চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে ১৫টি।

উল্লেখ্য গত ৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৬০ ইউনিয়নে চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। ভূমিধস ও পানিতে ডুবে মারা যান ২০ জন।

সারাদেশ-এর আরও খবর