কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের একুতা মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদী ও সংলগ্ন তীর দখলের অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে। তবে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন বিআইডব্লিউটিএ। শীতলক্ষ্যা নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের একটি প্রধান শাখা নদী। ১০৮ কি.মি. দীর্ঘ শীতলক্ষ্যা নদীটি গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদীতে পতিত হয়েছে। চরসিন্দুর ব্রিজ সংলগ্ন একুতা মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড বিশাল এলাকা জুড়ে নদীতীর ভরাট করে ফেলেছে এবং নদীর ওপর কংক্রিটের দীর্ঘ দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। আবার কয়েক জন শ্রমিক হাতুড়ি দিয়ে সেই দেওয়াল ভাঙছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, ‘বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা অভিযান চালানোর জন্য এসেছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেওয়ালটি ভাঙবে বলে এক সপ্তাহের সময় নিয়েছে।’ তবে নদীতীর ভরাটের বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের অনুকূলে বিআইডব্লিউটিএর কিছু শর্ত সাপেক্ষে একটি অনুমোদনও রয়েছে। ঘোড়াশাল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন একুতা মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের নিজস্ব জায়গায় পাকা আরসিসি জেটি ৮০০ বর্গফুট বা ৭৪ বর্গ মিটারের অনুমোদন রয়েছে। পরিবাহিত মালামাল উঠানামার জন্য ২৪০০০০ ঘনফুট অববাহিকা তৈরিরও অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদন রয়েছে ১৫৫০০০ বর্গফুট বা ৩৫৬ শতাংশ নদীতীর ব্যবহারের। অনুমোদনের সঙ্গে ২২টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। শর্ত ভঙ্গ হলে অনুমোদনটি বাতিলও হতে পারে বলে সতর্ক করা আছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শর্ত নং ২, ১৭, ১৯ ও ২০ ভঙ্গ করে তীর ভরাট ও নদীর ওপর কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি করেছে। নদীর তীর ভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন করে চলেছে কাজ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জানান, কয়েক দিন আগে বিয়য়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে ঐ প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লক্ষাধিক টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। তবে পুনরায় তারা আবারও নদী ও তীর ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেনকে প্রথমবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে দ্বিতীয়বার ফোন দিলে তিনি সিরিভ করেন এবং পরিচয় জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে অশোভন আচরণ করেন। তবে এ ব্যাপারে কথা হয় বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা বন্দরের পরিচালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নেওয়ার পর কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছে। এর মধ্যে তারা নদী দখল করে তৈরি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে জনা যায়, জেটি নির্মাণের জন্য আনুমানিক দুই বিঘা ও সংলগ্ন তীরের প্রায় ৩৫৬ শতাংশ জমি ভরাট করা হয়েছে, যা অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। কালীগঞ্জ ইকনোমিক জোনের জন্য ৪২.৯৬ একর জমির জন্য নামজারি করা হয়েছে। কিন্তু এই নামে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অবস্থানগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। তবে কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড ও প্যাকমেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১১৮.৯৫ শতাংশ বা ১.১৯ একর ভূমি উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত অবস্থানগত ছাড়পত্র/পরিবেশ অধিদপ্তরের বৈধতা রয়েছে। প্রায় ২২ একর ভূমি ভরাটের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড নদী দখল করেছে তা সত্য। আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি, এ বিষয়ে মামলা হবে। ’ বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘নদী ও নদীর তীর এলাকা আইন অনুসারে জলাধার হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এ প্রতিষ্ঠানটি যদি নদী ও তীর ভরাট করে থাকে তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা হয়েছে। খুব শিগিগরই শীতলক্ষ্যা নদী কালীগঞ্জ এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে যে সব শিল্প কারাখানা নদী দখল করে রেখেছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
নদী দখল করে স্থাপনা, কালীগঞ্জে উদাসীন বিআইডব্লিউটিএ
কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের একুতা মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদী ও সংলগ্ন তীর দখলের অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে। তবে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন বিআইডব্লিউটিএ। শীতলক্ষ্যা নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের একটি প্রধান শাখা নদী। ১০৮ কি.মি. দীর্ঘ শীতলক্ষ্যা নদীটি গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদীতে পতিত হয়েছে। চরসিন্দুর ব্রিজ সংলগ্ন একুতা মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড বিশাল এলাকা জুড়ে নদীতীর ভরাট করে ফেলেছে এবং নদীর ওপর কংক্রিটের দীর্ঘ দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। আবার কয়েক জন শ্রমিক হাতুড়ি দিয়ে সেই দেওয়াল ভাঙছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, ‘বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা অভিযান চালানোর জন্য এসেছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেওয়ালটি ভাঙবে বলে এক সপ্তাহের সময় নিয়েছে।’ তবে নদীতীর ভরাটের বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের অনুকূলে বিআইডব্লিউটিএর কিছু শর্ত সাপেক্ষে একটি অনুমোদনও রয়েছে। ঘোড়াশাল নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন একুতা মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের নিজস্ব জায়গায় পাকা আরসিসি জেটি ৮০০ বর্গফুট বা ৭৪ বর্গ মিটারের অনুমোদন রয়েছে। পরিবাহিত মালামাল উঠানামার জন্য ২৪০০০০ ঘনফুট অববাহিকা তৈরিরও অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদন রয়েছে ১৫৫০০০ বর্গফুট বা ৩৫৬ শতাংশ নদীতীর ব্যবহারের। অনুমোদনের সঙ্গে ২২টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। শর্ত ভঙ্গ হলে অনুমোদনটি বাতিলও হতে পারে বলে সতর্ক করা আছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শর্ত নং ২, ১৭, ১৯ ও ২০ ভঙ্গ করে তীর ভরাট ও নদীর ওপর কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি করেছে। নদীর তীর ভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন করে চলেছে কাজ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জানান, কয়েক দিন আগে বিয়য়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে ঐ প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লক্ষাধিক টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। তবে পুনরায় তারা আবারও নদী ও তীর ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেনকে প্রথমবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে দ্বিতীয়বার ফোন দিলে তিনি সিরিভ করেন এবং পরিচয় জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে অশোভন আচরণ করেন। তবে এ ব্যাপারে কথা হয় বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা বন্দরের পরিচালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নেওয়ার পর কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছে। এর মধ্যে তারা নদী দখল করে তৈরি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে জনা যায়, জেটি নির্মাণের জন্য আনুমানিক দুই বিঘা ও সংলগ্ন তীরের প্রায় ৩৫৬ শতাংশ জমি ভরাট করা হয়েছে, যা অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। কালীগঞ্জ ইকনোমিক জোনের জন্য ৪২.৯৬ একর জমির জন্য নামজারি করা হয়েছে। কিন্তু এই নামে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অবস্থানগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। তবে কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড ও প্যাকমেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১১৮.৯৫ শতাংশ বা ১.১৯ একর ভূমি উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত অবস্থানগত ছাড়পত্র/পরিবেশ অধিদপ্তরের বৈধতা রয়েছে। প্রায় ২২ একর ভূমি ভরাটের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড নদী দখল করেছে তা সত্য। আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি, এ বিষয়ে মামলা হবে। ’ বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘নদী ও নদীর তীর এলাকা আইন অনুসারে জলাধার হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এ প্রতিষ্ঠানটি যদি নদী ও তীর ভরাট করে থাকে তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা হয়েছে। খুব শিগিগরই শীতলক্ষ্যা নদী কালীগঞ্জ এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে যে সব শিল্প কারাখানা নদী দখল করে রেখেছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: May 19, 2024, 5:24 am
