রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইচআইভি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-03-2023    215
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইচআইভি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত রোগী। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিরাও এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত এক বছরে ক্যাম্পের ১১৫ রোহিঙ্গা ও ১০ স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিকের এই রোগ শনাক্ত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে কক্সবাজারে মোট এইডস আক্রান্তের সংখ্য ১১শ। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ৮০০ জন আর বাকি ৩০০ জন স্থানীয়। আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১১৮ জন।

এর মধ্যে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন বলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা এলাকায় এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস সি ও ডিপথেরিয়া রোগের জন্য ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব রোগে এখনো পর্যন্ত ৭১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে অনেকে এইডস পজিটিভ হয়ে এলেও সামাজিক কুসংস্কার তথা লোকলজ্জার ভয়ে চিকিৎসার আওতায় আসছেন না। ফলে কেউ শনাক্ত হলেও এরই মধ্যে বিভিন্নজনের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিয়েছেন।

পরিকল্পনা সেবার বাইরে রয়েছে অনেক পরিবার। তাদের মাধ্যমে ক্যাম্পগুলোতে এইডস বেশি ছড়াচ্ছে।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম সংশ্নিষ্টদের দাবি, ভাইরাসজনিত রোগটি প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপরও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর তুলনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এআরটি অ্যান্ড এইচআইভি ফোকাল পারসন আশিকুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় ঝুঁঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। তা ছাড়া যে হারে রোগী বাড়ছে সেই হারে স্ক্যানিং করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই শনাক্তের বাইরে থাকছে।

ভাইরাসটি ছড়ানোর নেপথ্যে বহুবিবাহ, নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার মতো কারণ রয়েছে। জীবিকার তাগিদে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে যাওয়ায় ঝুঁঁকি তৈরি হচ্ছে।

সারাদেশ-এর আরও খবর