ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৪ আসামির ফাঁসি, ১ জনের যাবজ্জীবন

  বিশেষ প্রতিনিধি    18-10-2022    148
ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৪ আসামির ফাঁসি, ১ জনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামিকে ফাঁসি ও এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এক জনকে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দেন। ভুক্তভোগীর বাবা আক্তার হোসেন এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন- ডলি বেগম। তিনি ধর্ষণের ঘটনায় সাহায্য করেছিলেন। মুক্তি দেওয়া হয়েছে নাসরিন আক্তার নামে এক জনকে। রায়ের সময় রবিউল ও ডলি বেগম পতালক ছিলেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আক্তার নিপাকে জোরপূর্বক বক্তাবলীর লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর। বাদী পক্ষের আইনজীব অ্যাডভোকেট সাইদুল হাসান সুমন বলেন, কামরুল, রবিউল, শুক্কুর আলী মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় আলী আকবর নামে এক ট্রলার চালক মেয়েটির কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন তারা তিনজন ধর্ষণ করছেন। এসময় পুলিশকে বলে দেবেন বলে জানালে আসামিরা আলী আকবরকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেন। পরে তাকে দিয়ে পাহারা দেওয়ায়। আসিমারা ধর্ষণ শেষে তাকেও (আকবর) ধর্ষণ করতে বলেন। কিন্তু তিনি মেয়েটির অবস্থা গুরুতর দেখে আর ধর্ষণ করেননি। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেওয়া হয়। দু’জনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে ফেলে আসেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সময় ধরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সারাদেশ-এর আরও খবর