চকরিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএটি’র ৬ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ

  বিশেষ প্রতিনিধি    09-06-2023    81
চকরিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএটি’র ৬ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্বের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সবুজ বৃক্ষরাজি ও বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে দিন দিন জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে বনভূমি ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও নির্বিচারে পাহাড়ে গাছ কাটা, পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন, পাথর আহরণের কারণে গহিন অরণ্যে জীববৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার জন্য মানুষই একমাত্র দায়ী। মানুষরূপী কিছু স্বার্থপর ব্যক্তি প্রতিনিয়ত বন-জঙ্গল উজাড় করে করে যাচ্ছেন। বর্তমানে যা বিরান ভূমিতে পরিণত হওযার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বৃক্ষ নিধণের ফলে পরিবেশ ভারসাম্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।

বিভিন্ন মহাবিপর্যয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। মহাবিপর্যয় ও দুর্যোগ থেকে পরিবেশ রক্ষার একমাত্র উপায় দেশে খালী জায়গায পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষ রোপন সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য অক্ষুণ্ন রাখা।

পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। দেশে বজ্রপাত, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ধ্বস, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। তাই ইচ্ছেমতো গাছ কাটা ও বনভূমি উজাড় করা ঠিক নয়। বৃক্ষরাজি না থাকলে প্রাকৃতিক পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ, পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি এবং মানুষের অস্তিত্ত্ব হতো বিপন্ন। তাই পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডে নজর না দিলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

এ সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠার আগে যেখানে সম্ভব সবুজ বনায়ন তৈরি করতে হবে। অন্যথায় প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। বৃক্ষ নিধনের ফলে বাতাস দূষিত, মাটি ক্ষয় ও পরিবেশ সংকটময় হচ্ছে। পর্যাপ্ত বনভূমি না থাকায় অনাবৃষ্টি এবং নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। হারিয়ে যাচ্ছে অতুলনীয় সবুজ সৌন্দর্য।

বৃক্ষরাজি একদিকে নিসর্গে শোভা বাড়ায়, অন্যদিকে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচনে বৃক্ষরোপণ রক্ষা এবং পরিকল্পিত একটি বাগানই হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সবুজ বৃক্ষরাজি গুরুত্ব অপরিসীম চিন্তা করে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেন। এই ট্যোবাকো কোম্পানির সার্বিক সহায়তায় সবুজ বনায়ন সৃষ্টির লক্ষে ৫০ প্রজাতির ৬ লক্ষাধিক গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। বিনামূল্য বিতরণকৃত গাছের চারা মধ্যে রয়েছে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি জাতীয় গাছ।

বিভিন্ন প্রজাতির এ গাছের চারা গুলো উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক বনায়নের জন্য বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে সূত্রে জানায়।

বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির

চকরিয়া এরিয়া ম্যানেজার মো: কবিরুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেয়। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও বনায়নের প্রকল্পের আওতায় চকরিয়া থেকে প্রায় ৬ লক্ষ বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিতরণ করা হবে। বৃক্ষ রোপন সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য অক্ষুণ্ন রাখা খুবই দরকার। তাই বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

সারাদেশ-এর আরও খবর